
মেহেরপুরের গাংনী উপজে'লার ষোলটাকা ইউনিয়নের কুঞ্জুনগর গ্রামে সাবিনা খাতুন (৩২) নামের এক নব-বধূর র'ক্তাক্ত লা'শ উ'দ্ধার করেছে পু'লিশ। এদিকে তার স্বামী বিদ্যুত হোসেন পলাতক রয়েছে। নি'হত সাবিনা কুঞ্জুনগর গ্রামের বিদ্যুত হোসেনের স্ত্রী ও একই উপজে'লার কুমা'রীডা'ঙ্গা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের মেয়ে। আজ বুধবার (২৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গাংনী থানা পু'লিশের একটিদল স্বামীর ঘর থেকে নব-বধূর র'ক্তাক্ত লা'শ উ'দ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানান, বিদ্যুৎ ও সাবিনার গত ১ মাস আগে পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে হয়। বিদ্যুতের যৌন সক্ষমতা নেই। তাছাড়াও তার শারীরিক ভাবে দেখতে অনেক রোগাকান্ত। এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মানোমালিন্য চলছিল।
ম'ঙ্গলবার সন্ধ্যারাতে সাবিনার বাবার পরিবারের লোকজন তাদের মনোমালিন্য বি'ষয়টি মিমাংসা করে চলে যায়। পরের দিন বুধবার সকালে প্রতিবেশীরা স্বামীর ঘরে সাবিনার র'ক্তাক্ত লা'শ দেখতে পায়। ধারণা করা হচ্ছে, সাবিনার স্বামী বিদ্যুত হোসেন তাকে হ'ত্যা করে পালিয়ে গেছেন।
সংবাদ পেয়ে গাংনী থানা পু'লিশের একটিদল লা'শ উ'দ্ধার করে ময়না ত'দন্তের জন্য মেহেরপুর মর'্গে নেয়। এদিকে গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, বিদ্যুত গত ৪ বছরে ৫টি বিয়ে করেন। প্রথম মেহেরপুর সদর উপজে'লার রাজনগর গ্রামের আখি খাতুনের সাথে বিয়ে হয় বিদ্যুত হােসেনের। দ্বিতীয় বিয়ে হয় গাংনী উপজে'লার ধ'র্মচাকী গ্রামের ইসমত আরা খাতুনের সাথে। তৃতীয় বিয়ে হয় একই উপজে'লার সহড়াবাড়িয়া গ্রামের কবিতা খাতুনের সাথে। এ ছাড়াও চুয়াডা'ঙ্গার আলমডা'ঙ্গা এলাকার জান্নাতুলের সাথে চতুর্থ। এবং সর্বশেষ সাবিনার সাথে তার পঞ্চম বিয়ে। তবে তার যৌন অক্ষমতার কারণে এ পর্যন্ত ৪জন স্ত্রী নিজে তালাক নেন। সর্বশেষ গত ১ মাস পূর্বে সাবিনাকে বিয়ে করেন বিদ্যুত হােসেন। বিয়ের পর থেকে তাদের স্বামীর মধ্যে মনোমালিন্য লেগেই থাকতো।
Leave a Reply