
মা’র হাতের লেখা ভালো কর।তোমা’র হাতের লেখা সবচেয়ে বাজে।ভালো ছাত্রের হাতের লেখা ভালো হয়।-এ ধরনের কথা আম’রা অনেক শুনেছি। এগু'লো আমা'দের জীবনের একটি অংশই হয়ে গেছে। এখানে আম’রা বলতে যাদের হাতের লেখা খা’রাপ তাদের বোঝানো হয়েছে।
হাতের লেখা ভালো হলে যিনি পড়ছেন তিনিও বেশ প্রশান্তি পান। আম’রা এটাও জানি, অনেকের হাতের লেখা এতই খা’রাপ, অন্য কেউ পারা তো দূরের কথা লেখক পরে নিজেও আর পড়তে পারেন না।
কিন্তু পৃথিবীতে এমন একজন আছে যার হাতের লেখা এমএস ওয়ার্ডের চেয়েও বেশি সুন্দর। তার নাম প্রকৃতি মাল্লা। সে নেপালের অধিবাসী। পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর হাতের লেখার অধিকারী।বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে যে কোনো সংবাদ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। এভাবেই আম’রা তার নাম জানতে পেরেছি।
প্রকৃতি মাল্লা ৮ম শ্রেণীর ছা’ত্রী এবং হাতের লেখার কারণে সে এখন বিশ্ববিখ্যাত। কিছুদিন আগে নেপালের একজন তার হাতের লেখার ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেন এবং কিছুদিনের মধ্যে সারা বিশ্বে এটি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।প্রকৃতি মাল্লার হাতের লেখা দেখলে মনে হয় কম্পিউটারের কোনো ফন্ট।
তার লেখার মাঝখানের ফাঁ'কা জায়গাগু'লো সব সমান। এছাড়াও সে লিপিবিদ্যার নতুন একটি উচ্চতা সৃষ্টি করেছে। এমনকি বিশেষজ্ঞরাও বলেছেন, তার লেখা নিখুঁতের প্রায় কাছাকাছি। এ কারণে তার হাতের লেখা নেপালের সবচেয়ে সেরা।
প্রকৃতি মাল্লা সৈনিক আওয়াসিয়া ম'হাবিদ্যার ছা’ত্রী। অসাধারণ হস্তাক্ষরের জন্য নেপালি সশস্ত্র বাহিনী থেকে তাকে পুরস্কৃত করা হয়। এখন সে সারা বিশ্বে জনপ্রিয় এবং মানুষ তার লেখা পড়তে বেশ আগ্রহী। নিজেদের হাতের লেখা আরও বেশি সুন্দর করতে প্রকৃতি মাল্লার লেখা সবাইকে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে।
Leave a Reply